পীরগঞ্জের ১২ নং মিঠিপুর ইউনিয়নের পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে। গতবারের তুলনায় আয়োজনের দিক থেকে কিছুটা কমতি থাকলেও, পূজা কমিটির সদস্য, এলাকাবাসীর উৎসাহ এবং আনন্দের কোনো কমতি নেই। তবে এই উৎসবের সাথে যুক্ত হয়েছে ভীতি এবং শঙ্কা।
সারাদেশজুড়ে অস্বস্তিকর এবং ভীতিকর পরিবেশ বিরাজমান থাকায়, প্রতিমা ভাঙ্গচুরের খবর পাওয়াতে পূজা কমিটির সদস্যরা সর্বদা সজাগ থাকছে। তবে মাদারগঞ্জে এ পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেনি।
১২ নং মিঠিপুর ইউনিয়নে যেসব মন্ডপে পূজা হচ্ছে, মাদারগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, একবারপুর মধ্যপাড়া, একবারপুর বাজারপাড়া ও কুটিপাড়া, মিঠিপুর (পানবাজার), মিঠিপুর (পালপাড়া), কুতুবপুর (গবরা) মন্ডলবাড়ী, দুরামিঠিপুর (দাসপাড়া), দুরামিঠিপুর ক্ষত্রিয়পাড়া ও রওশনপুর চরকতলা (দাসপাড়া)।
এবারের পূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়েও শক্তিশালী করা হয়েছে। গতবার সেনাবাহিনী উপস্থিত না থাকলেও এবার বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকছে। সেনাবাহিনী প্রতিদিন দুবার করে পরিস্থিতি খোঁজ নিচ্ছে এবং রাতে তারা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং সাদা পোশাকে পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে কোথাও যদি কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে, তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে। উপজেলা পরিষদ থেকে সার্বক্ষণিক একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে, যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
নামাজের সময়সূচি মেনে চলার জন্য ঢাক এবং মাইক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগের নিয়মের মতই নামাজের ১০ মিনিট আগে এবং নামাজের ১০ মিনিট পর পর্যন্ত এই নির্দেশ পালন করতে হবে। এবিষয়ে নতুন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
তবে প্রশাসন থেকে রাত ৮টার ভিতরে বিসর্জন দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতবারের মতোই সরকারিভাবে একই পরিমাণ চাল অনুদান হিসেবে প্রতিটি পূজা মন্ডপ পেয়েছে। নগদ অনুদান দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হলেও, তা এখনও হাতে পায়নি বলে জানিয়েছেন মাদারগঞ্জ সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা অশোক কুমার কর্মকার।
পূজা মন্ডপগুলোতে ভক্তদের উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়েছে। নাচ, আরতি ছিল জমজমাট। তবে সাউন্ড সিস্টেম বেশিরভাগ জায়গাতে ছিল নির্দিষ্ট মাত্রায়।